কক্সবাজারে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফে শিশু আলী উল্লাহ আলো হত্যার আলোচিত মামলায় ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুই জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ মে) বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার খোদ্দ নারায়ণপুর গ্রামের আফতাব আলী ওরফে আতাব আলীর ছেলে সুমন মিয়া (পলাতক), ঠাকুরগাঁও জেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে ইয়াছিন ওরফে রায়হান (হাজতে), কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আসলাম মিয়ার ছেলে ইয়াকুব (হাজতে), কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার গোদারবিল গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ইছহাক প্রকাশ কালু (হাজতে), একই উপজেলার মহেশখালীয়া গ্রামের মৃত নবী হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম (পলাতক), মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু উপজেলার ধুনচিপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে সৈয়দুল আমিন ওরফে লম্বাইয়া (পলাতক)। হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং গ্রামের মৃত মৌলভী আবদুল জলিলের ছেলে মুহিব উল্লাহ এবং টেকনাফ পৌরসভার লেঙ্গুরবিল গ্রামের জাফর আহমদের ছেলে দিদার মিয়াকে এই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবদুল্লাহর ছেলে আলী উল্লাহ আলোকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ভাড়াটে খুনিরা। আব্দুল্লাহর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা খুনিদের মাধ্যমে নিজ বাড়ির কাচারিঘরে আলোকে নির্মমভাবে জবাই করে। ঘটনার ১১ বছর পর বুধবার এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণার করা হলো। মামলায় ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুই জনকে খালাস দেন আদালত। এই আদেশের অনুলিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করারা জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার কক্সবাজার, পুলিশ সুপার নওগাঁ, পুলিশ সুপার কুমিল্লা বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার বাদী আবদুল্লাহ মামলার রায়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর সাজা না হওয়ায় সন্তুষ্ট নন বলে জানান।

অপরদিকে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামির আইনজীবী মহিউদ্দিন খান।