রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের ৪৯ নেতাকর্মী কারাগারে

চট্টগ্রামের একটি রেস্তোরাঁ থেকে জামায়াত-শিবিরের ৪৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এস আই মো. মোমিনুল হাসান মঙ্গলবার (১৭ মে) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় গ্রেফতার ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ পলাতক ১৬ ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী মোমিনুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গ্রেফতার আসামিদের দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে প্রথম দিন পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কোতোয়ালি থানা জামায়াতের আমির মো. ফরিদুল আলম (৪৭), কোতোয়ালি থানা দক্ষিণ শাখার সমন্বয়ক মো. ফরিদ উদ্দিন (৪৪), কোতোয়ালি থানা দক্ষিণ শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক মো. নুরুল কবির (৬৫), কোতোয়ালি থানা দক্ষিণ শাখার দফতর সম্পাদক এমদাদ উল্লাহ (৩৪), বকসিরহাট শাখা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ (৩৫), অর্থ জোগানদাতা আবুল মনছুর (৫০), টেরীবাজার শাখার জামায়াত সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির (৫০), টেরীবাজার কাটাপাহাড় শাখার সভাপতি রাশেদুল করিম (৩৪), টেরীবাজার কাটা পাহাড় শাখার জামায়াত সহ-সভাপতি হাফেজ মো. তাজুল ইসলাম (৩৮), টেরীবাজার ইমাম ম্যানশন শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইসরাফিল (৫০) প্রমুখ। বাকিরা জামায়াত ও শিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির।

সিএমপির দক্ষিণ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা টেরীবাজার এলাকার ‘আল বয়ান’  রেস্তোরাঁয় বসে গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে সোমবার (১৬ মে) রাত ১০টায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের দলীয় পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আগের কোনও মামলা কিংবা অভিযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’