ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, গ্রেফতার ২

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নুরুল হুদার ছেলে মেহেদী হাসান হৃদয় (১৮) এবং বসুরহাট পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজুল হকের ছেলে রমজান আলী (২০)।

এর আগে, সোমবার (১৬ মে) রাত পৌনে ১০টায় উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পেশকারহাট রাস্তার মাথায় হামলার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে পেশকারহাট রাস্তার মাথা বাজার কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাহাদুর ১৯ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এরপর দুপুরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস আগে মেহেদী হাসান এক ফেসবুক আইডির পোস্টে ব্যঙ্গাত্মক ইমোজি কমেন্ট করেন উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান কচির ছেলে সাইদুর রহমান শুভ। এরপর গত ১৪ মে বিকালে উনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরহাট সড়কে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে মেহেদী হাসান এবং একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটোয়ারী বাড়ির ইমন পাটোয়ারী (১৮)। এ ঘটনায় শুভ প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্ত্যক্তকারীরা শুভকে মারধর করে চলে যায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, উত্ত্যক্তকারী মেহেদী এবং একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সবুজের ভাই রনির নেতৃত্বে রবিবার দিবাগত রাত ৮টায় পেশকারহাট রাস্তার মাথায় চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে এবং একই এলাকার জিরো পয়েন্টে শুভর ওপর হামলা চালানো হয়। ওই সময় দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর সোমবার (১৬ মে) রাত ১০টার দিকে পেশকারহাট রাস্তার মাথা বাজারের ৪০টি দোকানে হামলা চালিয়ে চারটি দোকান ভাঙচুর এবং কয়েকটি দোকানে লুটপাট চালায় একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হৃদয়, রনি, রমজান আলী ও ইমনসহ ২০ থেকে ২৫ জন যুবক। এ সময় হামলাকারীরা দুই লাখ ৪০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে এবং তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফেসবুক পোস্টে কমেন্টের জেরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বাহাদুর ১৯ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।