প্রদীপ-চুমকির দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ 

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রবিবার (২৯ মে) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। 

রবিবার (২৯ মে) দুদক চট্টগ্রাম-২-এর সাবেক সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা। আগামী ৬ জুন এই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলায় রবিবার বাদীর জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলায় মোট ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আদালতে মামলার দুই আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ উপস্থিত ছিলেন।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন মামলা করেন। মামলায় তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রদীপের স্ত্রীর নামে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। চুমকির চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল। এরমধ্যে দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে দুদক। 

২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ।