ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, নষ্ট হয়েছে ফসল

বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরশুরাম এবং ফুলগাজী উপজেলার কৃষি ও মৎস্যখাত। লোকালয় থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে সবখানে রেখে গেছে ধ্বংসের ক্ষত চিহ্ন। 

শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন নানা ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে।

পরশুরামে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু দাশ বলেন, বন্যায় পরশুরামে ৭০ থেকে ৭৫ হেক্টর জমির আউশ ধান এবং প্রায় ২০ হেক্টর শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পুরোপুরি পানি নেমে গেলে চূড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

মৎস্যখাতে ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তফা জামান বলেন, বন্যার পানিতে প্রায় ১৫টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ নির্ণয় ও ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে মৎস্য বিভাগ কাজ করছে।

একইভাবে ফুলগাজী উপজেলায় বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ও মৎস্যখাত। সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় প্রায় ৪৪ হেক্টর আয়তনের ২৪৫টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

feni2

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, মাঠে তেমন ফসল না থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শাক-সবজি ও আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফুলগাজী  ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, বন্যায় আমার ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া ৫০০ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি মেরামতে সাহায্য করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বন্যায় ইট বিছানাে ও পাকা সড়ক এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য কৃষকদের পুনবার্সন করাসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।