‘চকলেটের’ দাম ২২ লাখ টাকা

চট্টগ্রামে এবার কোরবানির পশুর হাট মাতাচ্ছে ‘চকলেট’ নামের একটি গরু। স্থানীয়দের মতে এটিই এবার চট্টগ্রামের সবচেয়ে ব্ড় গরু। এক হাজার ২৭০ কেজি তথা ৩২ মণ ওজনের গরুটি লালন-পালন হয়েছে কর্ণফুলী থানাধীন শিলকবাহা ইউনিয়নের ‘মালেক শাহ অ্যাগ্রো’ খামারে। গরুটির দাম ধরা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ১২ লাখ টাকা দাম উঠেছে।

খামারটির মালিক আশরাফ উদ্দিন জিল্লু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০২০ সালের শুরুর দিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের এক প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে গরুটি পাঁচ লাখ টাকায় কেনা হয়। যখন কেনা হয় সে সময় এটির বয়স ছিল দেড় বছর। ব্রাহমা শাহী ওয়াল ক্রস জাতের গরুটি আড়াই বছর ধরে লালন-পালন হচ্ছে। গরুটির নাম রাখা হয় চকলেট।’

তিনি বলেন, ‘চকলেট নামে ডাকলে সাড়া দেয়। দৈনিক সাত ধরনের দানাদার খাদ্য খাওয়ানো হয়। খৈল, সাগু, ছোলাসহ প্রায় দেড় হাজার টাকা প্রয়োজন হয় দৈনিক খাবারে। এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় গরু। বিক্রির জন্য দাম দেওয়া হয়েছে ২২ লাখ টাকা। গরুটির ওজন প্রায় এক হাজার ২৭০ কেজি। ইতিমধ্যে ক্রেতারা ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছেন। আশা করছি আরও বেশি দাম পাবো।’

শিকলবাহা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান কায়সার বলেন, ‘বড় গরুর জন্য মালেক শাহ অ্যাগ্রোর আলাদা গুণ রয়েছে। চকলেট নামের গরুটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় গরু হবে। এত বড় গরু এবার বাজারে আমার চোখে পড়েনি।’

চট্টগ্রামে এবার তিনটি স্থায়ী ও চারটি অস্থায়ী হাটে পশু কেনাবেচা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব বাজারে পশু আসতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, এখনও বেচাবিক্রি জমে ওঠেনি।

নগরের তিনটি স্থায়ী হাটের মধ্যে আছে- সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট। চারটি অস্থায়ী হাটের মধ্যে আছে- কর্ণফুলী গরুর বাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট, দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্ক সংলগ্ন খালি মাঠ ও পতেঙ্গা লিংক রোড সংলগ্ন খেজুর তলা মাঠ।

এদিকে, চট্টগ্রামের সবকটি পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় হাটগুলোতে র‌্যাব-পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। এ ছাড়া জাল নোট শনাক্তে বসানো হয়েছে মেশিন। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বসানো হয়েছে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের বুথ।