ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটন শিল্পের মন্দা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট মালিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর ঈদুল আজহার ছুটিতে বেশিরভাগ হোটেলে অগ্রিম বুকিং হলেও এবার কক্সবাজারের হোটেল বুকিংয়ে সাড়া নেই। বরং এ বছর উল্টো চিত্র। এখনও ৮০ শতাংশ কক্ষ খালি থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হোটেল-মোটেল মালিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে বেড়াতে আসতে হোটেল-মোটেলে অগ্রিম বুকিংয়ের হিড়িক পড়ে। অনেক সময় অগ্রিম বুকিংয়েও মিলে না হোটেল কক্ষ। কিন্তু, এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে সেই চিত্র একেবারে উল্টো। বর্তমানে হোটেল-মোটেলের ২০ শতাংশ কক্ষও বুকিং হয়নি।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন- সম্প্রতি সংঘটিত বন্যা, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আসন্ন এসএসসি পরিক্ষার কারণে কক্সবাজারে হোটেল বুকিং কমেছে। ঈদুল আজহার ছুটিতে এখনও অগ্রিম হোটেল বুকিং ২০ শতাংশের নিচে। স্মরণকালে এমন বিপর্যয়ের চিত্র দেখেনি কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়ক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৌখিম খান বলেন, বিগত বছরগুলোতে ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগে কক্সাবাজারের চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের প্রায় শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। এমনকি কটেজগুলোতেও বুকিংয়ের হিড়িক পড়ে। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম সিকদার বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের অগ্রিম বুকিং বিপর্যয় কাটিয়ে ঈদের পরবর্তী সময়গুলোতে লাভের আশার প্রত্যাশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
হোটেল ‘আইল্যান্ডিয়া’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর নূরুল কবির পাশা বলেন, আমাদের হোটেলে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বুকিংশূন্য। একই কথা জানিয়েছেন ‘গ্র্যান্ড সেন্ডি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুর রহমান।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অগ্রিম হোটেল বুকিং না হওয়া মানে ধরে নেওয়া এবারে ঈদুল আজহার ছুটিতে কক্সবাজারের স্মরণকালের রেকর্ড সংখ্যক কম পর্যটক আসবে। আবার আবহাওয়াসহ সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে হোটেল বুকিং ছাড়াই আকস্মিক ছুটে আসতে পারেন পর্যটকেরা- এমন প্রত্যাশাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্যটন ব্যবসায়ীরা।