কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে জমে উঠেছে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। জেলার অর্ধডজন বিনোদন কেন্দ্র এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। আনন্দে মেতেছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তরুণ-তরুণী, শিশু ও পরিবারসহ ঘুরতে আসা মানুষদের। বুধবার (১৩ জুলাই) অনেকে স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। 

জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর, নব শালবন বিহার, ম্যাজিক প্যারাডাইস, ব্লু ওয়াটার পার্ক ও ডাইনোসর পার্ক। এসব বিনোদন কেন্দ্র কোটবাড়ি লালমাই পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। 

এদিকে, শহরতলীর লালমাই বাজার সংলগ্ন স্থানে রয়েছে লালমাই লেকল্যান্ড। নগরীর ডুলিপাড়ায় রয়েছে ফান টাউন। এসব বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। তবে দিন ও রাতের বেশিরভাগ সময় নগরীর প্রাণকেন্দ্রের নগর উদ্যান ও ধর্মসাগর পাড়ে জনসমাগম বেশি।

বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় থাকবে। প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরী থেকে আট কিলোমিটার দূরে শালবন বৌদ্ধ বিহার। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দুই কিলোটার দূরে এর অবস্থান। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এজন্য সবসময় দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে। কাছাকাছি স্থানে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। তবে আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে উঠলে আরও দর্শনার্থী আসতো। শালবন বিহারের পরে রয়েছে কোটিলা মুড়া ও রূপবান মুড়া। পাশাপাশি ম্যাজিক প্যারাডাইস। এসব বিনোদন কেন্দ্র এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। 

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা কুমিল্লার বরুড়ার বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, ‌‘ঈদের তিন দিন সবার ব্যস্ততা থাকে, তাই আজ ঘুরতে এলাম। ছুটি শেষে আবার ঢাকায় ফিরতে হবে। শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর ঘুরে ধর্মসাগর পাড়ে এসেছি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি।’

ম্যাজিক প্যারাডাইসের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘করোনার সময় কিছু রাইড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন ১৮টি রাইড রয়েছে সবার জন্য। কিডস জোনে রয়েছে ৩২টি রাইড। এছাড়া ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। ডাইনোসর জোনসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় আয়োজন রয়েছে বিনোদন কেন্দ্রে। ঈদে উপলক্ষে ফ্লাশ মুভ ড্যান্সসহ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী ঘুরতে আসছেন।’

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর সিলেট ও কুমিল্লা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য ঈদের মতো এবারও কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। ঈদের পরদিন আমাদের তিন লাখ টাকা টিকিট বিক্রি হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর ঈদের দিন বন্ধ ছিল। পরদিন থেকে উন্মুক্ত করা হয়। শুক্রবার পর্যন্ত এ ভিড় থাকবে, আশা করছি।’