পাহাড় কাটার অপরাধে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

পাহাড় কাটার অপরাধে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেওয়ায় দোকানপাট বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মহালছড়ি বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ রেখে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা।

এর আগে দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবি জানানো হয়।

তবে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের দিনে নিজ কার্যালয়ে আসেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবাইদা আক্তার।

এদিকে, দোকানপাট বন্ধ রাখায় মহালছড়ি বাজারে কেনাকাটা করতে আসা লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মহালছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল দাশ বলেন, ‌‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহালছড়িতে যোগদানের পর থেকে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। কিন্ডারগার্টেন স্কুল নির্মাণের জন্য ইউএনওর নির্দেশে পাহাড় কাটা হয়েছিল। তা দেখে অনেকে পাহাড় কেটেছেন। কিন্তু পাহাড় না কেটেও সাজা পেয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ। তাকে অন্যায়ভাবে ডেকে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রথমে জরিমানা এবং পরে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন ইউএনও। অবিলম্বে ওই ব্যবসায়ীর মুক্তি চাই। সেইসঙ্গে ইউএনওকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবাইদা আক্তার বলেন, ‘পাহাড় কেটে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ করায় ওই ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যারাই পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ করবে তাদেরই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে। আর কিন্ডারগার্টেন স্কুল নির্মাণের জন্য কোনও পাহাড় কাটা হয়নি। এটি ব্যবসায়ীদের মিথ্যা তথ্য।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে মহালছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে পাহাড় কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার অর্থ পরিশাধে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।