প্রদীপ-চুমকির সাজা পরোয়ানা কারাগারে

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে প্রদীপ কুমার দাশ ও চুমকি কারণের সাজা পরোয়ানা। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রায় ঘোষণা করার পর বিকালে সাজা পরোয়ানা আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে চারটি ধারায় প্রদীপকে ২০ ও চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই রায়ে অর্থদণ্ডের পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত আসামিদের সাজা পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী সমীর দাশ গুপ্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চারটি ধারায় আদালত প্রদীপ দম্পতিকে সাজা দিয়েছেন। এর মধ্যে সব সাজা হিসাব করলে প্রদীপের বিরুদ্ধে ২০ ও চুমকিকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, সব সাজা একসঙ্গে চলবে। তাদেরকে এই মামলায় একটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয় ১০ বছর। অর্থাৎ প্রদীপ ও চুমকিকে ১০ বছর করে সাজা ভোগ করতে হবে।’

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ মামলা করেন।

মামলায় তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের এক সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন চুমকি। গত ২৩ মে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে আগেই মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন কক্সবাজার আদালত।