৭৭ হাজার লিটার মদ জব্দ: জড়িতদের শাস্তি দিতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সুপারিশ

মিথ্যা ঘোষণায় ও জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মদ আমদানির সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম সোমবার (১ আগস্ট) এই চিঠি দেন।

চিঠিতে কমিশনার উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি হওয়া পাঁচ কনটেইনার মদের চালান আটক করা হয়েছে। অতীতেও আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক দলিলাদি জাল কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সিল-স্বাক্ষর জাল করার মাধ্যমে পণ্য চালান খালাস করার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে জালিয়াতি বন্ধ হবে না।

এমতাবস্থায়, আলোচ্য মদের চালানগুলো মিথ্যা ঘোষণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি ও খালাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। জড়িতদের বিচারের সম্মুখীন ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাস্টমস, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা যেতে পারে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. সাইফুল হক চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আরও বলেন, কাস্টম হাউস চট্টগ্রামে পৃথক একটি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং শাখা রয়েছে। এই শাখা থেকে মানি লন্ডারিং ঘটার আলামত রয়েছে। এ জাতীয় সব মামলার অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা করা হয়।

গত ২২ থেকে ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে-বাইরে পাঁচ কনটেইনার বিদেশি মদের চালান আটক করা হয়। যেগুলো সুতা, মেশিনারি ও শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল। পাঁচটি চালানে ৭৭ হাজার লিটার মদ আনা হয়। এতে ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল।

আটক হওয়া পাঁচটি চালানের তথ্যসহ নথি মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়েরের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং শাখায় পাঠানো হয়েছে।