মহাসড়কের পাশে গ্যাস লাইনে আগুন, এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর বাইপাসের পুনিয়াউট এলাকায় মাটির নিচে গ্যাস লাইনের পাইপের লিকেজ থেকে আগুন লেগেছে। এতে অন্তত এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর বাইপাসের পুনিয়াউট এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচের অংশে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়তে থাকে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার ও তারের ঘর্ষণ থেকে সৃষ্ট আগুন মাটির উপর অংশে পড়ে। এ সময় গ্যাসের পাইপ থেকে লিকেজ হওয়া গ্যাসে আগুন জ্বলে উঠে। আগুনের ঝুঁকি থাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় যুবক সোহেল মিয়া ও খোকন বলেন, হঠাৎ করে জোরে একটি শব্দ শুনি। পরে এখানে এসে দেখি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে খুঁটির নিচে থাকা গ্যাস লাইনে আগুন ধরে যায়। আমরা দ্রুত ৯৯৯-এ কল দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখানের গ্যাস লাইনে লিকেজ থাকার কারণেই এই আগুনের সূত্রপাত্র হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুল সামাদ বলেন, এখানে সড়কের পাশে গ্যাস সরবরাহের মেইন লাইন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর সময় গ্যাস লাইনে লিকেজ থাকার কারণে এই আগুনের সূত্রপাত্র হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। পরে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কথা বলে গ্যাস সরবরাহ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি।

গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠানটির টেকনেশিয়ার ফয়েজ আহমেদ বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে টিম পাঠাই এবং এই লাইনে গ্যাস সরবরাহ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেই। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। লাইনের কাজ শেষ করে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ সচল করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।