মীরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও মীরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। উপজেলার একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের মালিককে অফিস কক্ষে আটকে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতাল নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে রবিবার (১৪ আগস্ট) মীরসরাই থানায় মামলাটি করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শেখ তুরিন, স্থানীয় ইউসুফ, সোহেল, মো. হাসান ও আবির। মাসুদ করিম রানাকে মামলায় তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের পাশাপাশি সদ্যগঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

মামলার বাদী দাবি করেন, গত ১৩ আগস্ট সকালে তিনি তার স্বামী জসিম উদ্দিন, দুই মেয়ে মুনতাহা কারিনা বৃষ্টি ও নুসরাত আফরিন বিথীসহ হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরে তারা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ, মিঠানালা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ তুরিনসহ ৮/১০ জন হাসপাতালে ঢুকে একটি
কক্ষে আটকে মারধর শুরু করে। এ সময় তিনি নিজের স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকে গালাগালি করে।

চাঁদা দাবির বিষয়ে তিনি দাবি বলেন, ‘প্রথমে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রায় তিন ঘণ্টা হাসপাতালের অফিস কক্ষে আটকে রাখে আমার স্বামী জসিম উদ্দিনকে। একপর্যায়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে সাত লাখ টাকা দেবে মর্মে আমার স্বামী থেকে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।’

এই বিষয়ে কথা বলতে মাসুদ করিম রানার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, গত রবিবার সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে থানায় ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিলে পরদিন ১৫ আগস্ট এটি এজাহার আকারে গ্রহণ করা হয়। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।