কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো আহত ডলফিন

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে একটি আহত ডলফিন। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ইনানীর পাটুয়ারটেক সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে ডলফিনটি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ইনানী সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মী বেলাল হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে কালো রঙের ডলফিনটি আহত অবস্থায় কূলে এসে আটকে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই আমরা। পরে ডলফিনটি উদ্ধার করে হাঁটুপানিতে ছেড়ে দিই। কিন্তু এটি আবারও ফিরে আসে কূলে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এজন্য আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, দুপুরে ইনানীর পাটুয়ারটেকের সমুদ্রসৈকতে একটি ডলফিন দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিচকর্মীদের পাঠানো হয়। পরে বিচকর্মীরা ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ডলফিনটি আবারও তীরে ফিরে আসে। ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্নি আছে। যার কারণে ডলফিনটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটিকে বিচকর্মীদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কক্সবাজার বন বিভাগের দক্ষিণ বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছোয়াংখালী বিট কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ডলফিনটিকে সুস্থ করে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‌‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ছবি দেখে বুঝেছি, এটি বোতল নোজ প্রজাতির ডলফিন। সাগরের সব জায়গায় এদের বিচরণ। শান্ত স্বভাবের এসব ডলফিন পরিবারকেন্দ্রিক এবং দলবদ্ধভাবে থাকে। একে অপরের সঙ্গে মারামারি করারও কোনও নজির নেই। এটি কি কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, তা অনুসন্ধান করে দেখবো আমরা।’