বঙ্গবন্ধুর খুনির বাজেয়াপ্ত সম্পত্তিতে পুনরায় সরকারি সাইনবোর্ড 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ির ক্রোক করা সম্পত্তিতে আবারও সরকারি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে সীমানা পিলার। সম্পত্তিতে সহসাই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান মানিক।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামের উকিল বাড়িতে পুনরায় সীমানা পিলার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়।

২০১৪ সালে আদালতের ক্রোকাদেশ বাস্তবায়নে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৬ নম্বর পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামে অবস্থতি ১ একর ১৫ শতাংশ সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড ও লাল নিশানা লাগিয়ে ক্রোক করে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সম্প্রতি ওই সাইনবোর্ড উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ১৩ দিন পর ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

পুনরায় সীমানা নির্ধারণকালে উপেজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের কানুনগো মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, সার্ভেয়ার মো. কাজল মিয়া, নাজির মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. শুক্কুর মোল্লা টিটুসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪৪.০০.০০০০.০৭৪.০৬.০৫৫.০৯-৭৮৩ ও ৪৪.০০.০০০০.০৭৪.০৬.০৫৫.০৯-৭৮৪ স্মারক এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মোকাদ্দমা নম্বর- ২২/২০১৩-২০১৪ আদেশমূলে ওই ইউনিয়নের  সোনাইমুড়ী মৌজার সাবেক ২৪৬, হাল ৯৭ দাগে রাশেদ চৌধুরীর মোট ১১৫ শতাংশ ভূমি সরকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে। এর মধ্যে ১১৭২ দাগে ২৮ শতাংশ, ৩৯৩ দাগে ১২ শতাংশ ও ১৪১ দাগে ৭৫ শতাংশ খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে উপজেলা প্রশাসন লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরীর ওই সম্পত্তি সরকারি দখলে নিয়ে সীমানা পিলার স্থাপন ও সাইনবোর্ড লাগানো হয়। পরবর্তীতে সরকারিভাবে স্থাপন করা সীমানা পিলার ও সাইনবোর্ড উধাও হয়ে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপেজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বুধবার (৩১ আগস্ট) নতুন করে সীমানা পিলার স্থাপন ও সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়।