হামলায় আমার মাথা ফেটেছে, স্ত্রীর হাত ভেঙেছে: বুলু

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার এলাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকিসহ ছয় জনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বুলুর মাথা ফেটে গেছে। তার স্ত্রীর হাত ভেঙেছে। এছাড়া বিপুলাসার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মহিউদ্দিন রাজুও আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হামলার শিকার হয়ে রাত ৮টার দিকে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি দাবি করেন, নিজ এলাকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গাড়ির চাকা পাংচার হওয়ায় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের সীমান্ত এলাকা বিপুলাসার বাজারে নামেন। সেখানে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চা পান করছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালান। এতে তার মাথা ফেটে যায়। হামলায় তার স্ত্রীসহ ছয় জন আহত হয়েছেন।

মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বিপুলাসার বাজারে স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে সভা করছিলেন বরকত উল্লাহ বুলু। এ সময় তার স্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন। সভা চলাকালেই তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা আমরা জানি না। আমাদের কাছে এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছি।’

মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। এই ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মী জড়িত বলে মনে হচ্ছে না। আমি একটু আগে হামলার কথা শুনলাম। ঢাকায় অবস্থান করায় এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না।’

এদিকে বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় আলেখারচর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত আলী বকুল, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ও রেজাউল আঁখি মিছিলে ছিলেন।