গুলিতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের ঘটনায় পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানার ওসিসহ পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর আদালত) সামিউল আলম এক আদেশে মামলার আবেদন খারিজ করে দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিচারক মামলার শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করেদেন। এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানায় ইতোমধ্যে একটি মামলা রয়েছে। আইনের কিছু বিষয় এখানে সাংঘর্ষিক। বিস্তারিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানকে এক আদেশে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১-শাখার উপ-সচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত একপত্রে এই তথ্য জানানো হয়। একই আদেশে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. শাখাওয়াত হোসেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়। 

এর আগে, পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার বাবা রহমত উল্লাহ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর আদালত) সামিউল আলমের আদালতে বাঞ্ছারামপুর থানার কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস (২৬), কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩৩), বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম (৪১), পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে (৩২), উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন খান (৩০) ও বিকিরণ চাকমা (৩২), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। বিচারক আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশের লিফলেট বিতরণকালে  খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। পরে মামলার ৭ ও ৮ নম্বর আসামি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজার নির্দেশে তারা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এক পর্যায়ে ১ নম্বর আসামি কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস কাছ থেকে ছাত্রদল নেতা নয়নকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে মারা যান ছাত্রদল নেতা নয়ন।