মাত্র একদিন পরেই কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। অন্যসব সমাবেশের মতো কুমিল্লা বিভাগের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যেও রয়েছে ধর্মঘটের শঙ্কা। এ অবস্থায় সমাবেশের দু’দিন আগেই কুমিল্লায় হাজির হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে কুমিল্লার পাশের পাঁচ জেলাসহ মোট ছয় জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী কুমিল্লায় পৌঁছে গেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
সরেজমিনে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ের টাউন হল মাঠ ঘুরে দেখা গেছে সমাবেশস্থলে শত শত নেতাকর্মী ভিড় জমিয়েছেন। বেশিরভাগের হাতেই ব্যাগ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই যুবক, আছেন বৃদ্ধও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগর থেকে এসেছেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মজনু মিয়া মেম্বার। তিনি বলেন, সব সমাবেশের আগেই সরকার গাড়ি বন্ধ করে দেয়। তাই চলে আসছি আগে আগে। একটা ভয়তো কাজ করেই। কারণ সরকার কখন কি কইরা বসে বলা যায় না। তবুও আমরা এখান থেকে সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাচ্ছি না। এখানেই থাকবো। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তার সঙ্গে এসেছেন মো. ইউনুস মিয়া নামের আরেক নেতা। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আজ রাতের মধ্যে কুমিল্লায় এসে পৌঁছাবে ১০ হাজার নেতাকর্মী। কালও আসবে, পড়শু সমাবেশ সফলভাবে শেষ করে ঘরে ফিরবো।
চাঁদপুর থেকে আসা বিএনপি নেতা ফখরুল বলেন, বাস বন্ধ করে আর লাভ হবে না। আমরা সবাই কুমিল্লায় অবস্থান নেবো। সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী কুমিল্লার বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। আমরা রাতের খাবারের জন্য কিছুক্ষণ পরই যাবো। আমাদের আতঙ্ক ছিল বাস বন্ধের। এখন আমরা কুমিল্লায় পৌঁছে গেছি, আর সমস্যা নেই। কাল ট্রেন ও বাসে কুমিল্লায় আসবেন আরও নেতাকর্মী।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার বাস মালিক সমিতির সভাপতি কবির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কোনও দাবি নেই। তাহলে কেন ধর্মঘট করবো। কখনও আমরা ধর্মঘট করিনি। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করেও হবে না।’
সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য সব ব্যবস্থা করা আছে। তাদের খাওয়া থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এবারের সমাবেশ হবে কুমিল্লার সবচেয়ে বড় সমাবেশ। ধর্মঘট দিলে কাজ হবে না। বিএনপি নেতাকর্মীরা কুমিল্লায় আসবেই।