বইয়ের কাগজের মান খারাপ নয়, রঙ কিছুটা ভিন্ন: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এ বছর ছাপানো বইয়ের কাগজের মান খারাপ নয়। রঙ কিছুটা ভিন্ন হলেও তা নিউজ প্রিন্ট নয়। সারাজীবনই কিন্তু নিউজ প্রিন্ট দিয়েই বই ছাপা হতো। আমরা কাগজের মান অনেক উন্নত করেছিলাম। এবার সেকেন্ডারি পাল্প ছাড়া দেশে কিন্তু কোনও পাল্প ছিল না। বিদেশ থেকেও কাগজ আনার কোনও সুযোগ ছিল না।’

বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকনা-বাছুর বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে কাগজ ছিল, যে সেকেন্ডারি পাল্প ছিল সেটি দিয়ে আমাদের করতে হয়েছে। এতে একেবারেই মান খুব খারাপ হওয়ার কথা না। শুধুমাত্র ব্রাইটনেস কিছুটা কম হবে। তাছাড়া সেই ব্রাইটনেস যখন অনেক বেশি সাদা হয় সেটি কিন্তু চোখের জন্য অত ভালো না। বিদেশে যে বই বানায় তার সাদা কাগজকে কিছুটা আইভরি কালার করে তারপর ছাপা হয়। যাতে পড়তে সুবিধা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সবাই মনে করে, বই যত বেশি সাদা হবে বোধহয় ভালো, তা কিন্তু নয়। আমরা যেটি করেছি- তা বাধ্য হয়ে করেছি। কারণ সেকেন্ডারি পাল্প ছাড়া আর কিছু আমাদের দেশে ছিল। সেজন্য রঙটা কিছুটা ভিন্ন হয়েছে। কিন্তু এর কোনোটাই নিউজ প্রিন্ট না। আগে আমরা একটা বই কত বাচ্চা, কত বছর পড়তো? এখন একটা বই, একটা বাচ্চা এক বছর শুধু পড়ে। কাজেই এই বই নিয়ে এমন কোনও বড় অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। আমাদের যেকোনও কিছু হলেই গেলো গেলো কওে একটা রব ওঠে। কিন্তু সেটি সত্যিকারার্থে দেখে, তার গুণাগুণ বিচার করে কিংবা এটি কেন করতে হলো সেগুলো নিয়ে কিন্তু আমরা মাথা ঘামাই না।’

দীপু মনি বলেন, ‘অতি মহামারি ও বৈশ্বিক মন্দার পর নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই উৎসব আমরা করতে পেরেছি, সেটি একটি বড় বিষয়। কিন্তু সেটিকে পাশ কাটাবার জন্য নানারকম কথা বলা হচ্ছে। প্রতিটি বাচ্চা বই হাতে পেয়েছে। হয়তো যে বাচ্চা পাঁচটি পাওয়ার কথা সে পেয়েছে হয়তো পেয়েছে তিনিটি। বাকী বই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।