পিবিআইর মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানার করা মামলায় জামিন মেলেনি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন নেসা শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) আবদুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে করা মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেন বাবুল আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পিবিআইর ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে করা মামলায়  বাবুল আক্তারের জামিন হয়নি। আদেশের কপি পেলে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো অঞ্চলের এসপি নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাবুল ছাড়াও ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়। গত ৩ জানুয়ারি এ মামলায় বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়া আদাত থেকে এ মামলায় জামিন নেন।

মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পরদিন বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যায় পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে বাবুল আক্তারের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে বাবুল আক্তারের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। ওই দিনই বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এই মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে ওইদিনই আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন বাবুল। ইতোমধ্যে মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই।