২ বিচারকের অপসারণ দাবিতে কর্মবিরতির মেয়াদ বাড়ালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ এবং জেলা জজ আদালতের নাজির মোমিনুল হকের অপসারণ দাবিতে আরও তিন দিন কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন জেলার আইনজীবীরা। সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের নতুন কর্মসূচির কথা জানান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল।

এ সময় তারা সৃষ্ট ঘটনা সমাধানের জন্য জেলার সন্তান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব গোলাম সারওয়ারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আদালতের এই অচল অবস্থার কারণে অন্তত ১৫ হাজার বিচার প্রার্থী ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানান আইনজীবী সমিতির নেতারা।

তারা বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব গোলাম সারওয়ার সাহেব এ জেলার বাসিন্দা। ওনারা উদ্যোগ নিলে বর্তমান অচলাবস্থা দ্রুত সমাধান হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর এক মাসের জন্য আদালত বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে তিন আইনজীবীর তিনটি মামলা গ্রহণ নিয়ে প্রথমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদের আদালতে বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে গত ২৬ ডিসেম্বর সভা করে আইনজীবীরা ওই আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে ওই বিচারক একমাস পর আদালত খোলার পর তার এজলাসে উঠলে আপত্তি জানান জেলার আইনজীবীরা।

এ সময় বাদানুবাদ একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আদালতের সৃষ্ট ঘটনাটি আলোচনায় আসে। পরে ৪ জানুয়ারি আদালতের কর্মচারীরা আদালতে তালা ঝুলিয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আইনজীবীরা। তারা এ ঘটনাকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে জেলা জজ শারমীন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদের অপসারণ দাবি করে গত ৫ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।