দুই ব্যাংক তার কাছে পাবে ৩৬৬ কোটি টাকা, শ্যোন অ্যারেস্টের নির্দেশ

চট্টগ্রামে দুই ব্যাংকের পাঁচ শাখা থেকে নেওয়া ঋণের ৩৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা না দেওয়ায় পৃথক পাঁচ মামলায় মোহাম্মদ নুর-উন-নবী নামে এক ব্যবসায়ীকে শ্যোন অ্যারেস্টের (গ্রেফতার দেখানো) আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালত মেহনাজ রহমান এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চম আদালতের ভারপ্রাপ্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফ উদ্দীনের আদালতে এসব মামলার পক্ষে ব্যাংক কর্মকর্তারা আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাকে সব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

মোহাম্মদ নুর-উন-নবী মেসার্স আকতার এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বলাকা ট্রেডার্সের মালিক। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার নবীনগর এলাকার বাসিন্দা।

ব্যাংকের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোহাম্মদ নুর-উন-নবী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা শোধ করেননি। তিনি ঋণের অনুকূলে ব্যাংককে চেক দিয়েছিলেন। ওই চেকের অনুকূলে টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করে। ঋণ খেলাপির অভিযোগে বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষে করা পাঁচ মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করা হয়। আদালতে শুনানি শেষে পাঁচ মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্টের আদেশ দেন।’

তিনি বলে, ‘বর্তমানে মোহাম্মদ নুর-উন-নবী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ঢাকার গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা শোধ করেননি। এ কারণে ব্যাংক কর্মকর্তারা মামলা করেন। এ পাঁচ মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও কিছু মামলা রয়েছে।’

আদালত সূত্র জানায়, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার পক্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা মাওসুফ উদ্দিন আদালতে পাঁচ কোটি ৫১ লাখ আট হাজার ৪৭৫ টাকা; বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার পক্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন আদালতে পাঁচ কোটি ৫১ লাখ আট হাজার ৪৭৫ টাকা; বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার পক্ষে মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন আদালতে পাঁচ কোটি ৫১ লাখ আট হাজার ৪৭৫ টাকা; ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার পক্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আদালতে ২০০ কোটি টাকা ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক হালিশহর শাখার পক্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা প্রীতম দাশ আদালতে মোহাম্মদ নুর-উন-নবীর বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা চেক প্রতারণার মামলায় শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেন।