মোখার প্রভাবে ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা, বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নির্দেশ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হলেই পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নির্দেশ দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) বিকালে জেলা প্রশাসনের একটি টিম শহরের রূপনগর, শিমুলতলী নতুন পাড়া, লোক মন্দির এলাকা, বিএম ইনস্টিটিউট এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই টিমে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুলহ আল মাহমুদ, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিনসহ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা রয়েছে। দুপুরের পর থেকে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও তথ্য অফিস থেকে সর্তকতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

রাঙামাটির পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস

রূপনগর এলাকার বাসিন্দা মিঠু বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বৃষ্টি শুরু হলে দ্রুত নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র চলে যাবো। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে। তাই বাড়িতে থাকবো। বৃষ্টি শুরু হলে আমরা কেউ
বাড়িতে থাকবো না।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সেরে যেতে বলেছি। তাও কেউ যদি না সরে তাহলে আমরা তাদের বাধ্য করবো। নারী ও শিশুদের আগে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে বলেছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলায় পাহাড়ের ঢালে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী সব লোকজনকে বর্ষণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।