চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, কোথাও কোথাও নেই গ্যাস-বিদ্যুৎ

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রামে কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। নগরীসহ জেলার কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ নেই, নেই গ্যাসও। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের প্রায় ৭২টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। এ কারণে সড়কে কমেছে গ্যাসচালিত যানবাহনের চাপ।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাম তৎচঙ্গা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমানে ঘূণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৩৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের বর্ধিত অংশ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে দুপুর ২টা থেকে ৩টার পর ঘূর্ণিঝড় মোখা পুরোপুরি আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করতে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।’

নগরীর মুরাদপুর সঙ্গীত এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ তালুকদার বলেন, ‘সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বাতাস তেমন নেই। বৃষ্টি শুরুর পর থেকে বিদ্যুৎ নেই। সকাল থেকে নেই গ্যাসও।’

উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালী উপজেলার খনুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বাবুল বলেন, ‘সকাল থেকে এখানে মাঝারি আকারে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে তেমন বাতাস নেই। বিদ্যুৎ আছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি তাদের অনেকেই ঘরের মালামাল নিরাপত্তার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে এসেছে। নিরাপদ স্থানে গরু-ছাগল নিয়ে গেছেন বাসিন্দারা।’

বাঁশখালীর ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১১২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আছে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক।’