আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন উপকূলের বাসিন্দারা

বৃষ্টি আর বাতাস দেখে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলার বাসিন্দারা। ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু নিয়ে লোকজন ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলাগুলোয় ঝুঁকিতে বসবাসকারী সব বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের উপকূলীয় বাঁশখালী উপজেলার ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্রের ৪৫ হাজার ১৪০, সন্দ্বীপে ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রের ২৯ হাজার ৮৮৫, আনোয়ারার ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ হাজার ২৮০, সীতাকুণ্ডের ৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ২৮৯, কর্ণফুলীর ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০০ জন ও মীরসরাইয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ভয়াল ঘূণিঝড়ে এসব উপকূলীয় উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেদিক বিবেচনায় রেখে এসব উপজেলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলাগুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। উপকূলীয় উপজেলায় মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলার, নৌকা, স্পিডবোট গত ১১ মে থেকে সমুদ্রে চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোস্টগার্ড এ কার্যক্রম মনিটরিং করছে। ইউএনওদের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্যোগ মোকাবিলায় মাঠে আছেন। 

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সিপিপির ৮ হাজার ৮৮০ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা এলাকায় আবহাওয়া বার্তা প্রচার করছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।