কয়লা সংকটে বন্ধ হলো এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট’ গত দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে  জানান প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

কবে নাগাদ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারেননি তারা। দেশে লোডশেডিং পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে হঠাৎ বন্ধের ঘোষণাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে অশনিসংকেত হিসেবে মনে করছেন কেউ কেউ। 

বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুই ইউনিটে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। ২৪ মে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়।

এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ২৪ মে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটটিতে উৎপাদন শুরু হয়। যেটুকু কয়লা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। কয়লা পৌঁছানোর পর শিগগিরই পুরোদমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা হবে।’

চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ, যদিও পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা হয়। এরমধ্যে কয়লা সংকটের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রটির এক নম্বর ইউনিট থেকে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়।’

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কবে নাগাদ কেন্দ্রটি চালু হবে সে বিষয়ে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়লা আনার পর পুনরায় চালু হবে।’

এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেড বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি। এর বিনিয়োগের অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। কোম্পানির ৭০ শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপের, বাকি ৩০ শতাংশ চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রির।