চাঁদপুরে যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যু্বলীগ কর্মী মোবারক হোসেন (৪৮) নিহতের ঘটনায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে মামলার এক নম্বর আসামি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে ৩১ জনকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন মোবারকের ভাই আমির হোসেন।

মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘নিহতের ভাই বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমানসহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অন্য আসামিরা হলেন মুসা গাজী, জুয়েল কবিরাজ, সাবিয়া বেগম, আনোয়ার শেখ, মোশারফ মির্জা ও শাকিলা বেগম। তাদের সবার বাড়ি মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায়।’

পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকালে মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর চরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোবারক নিহত হন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মোহনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার বিকালে সমাবেশের আয়োজন করেছিল মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন যুবলীগ কর্মী মোবারকসহ একদল কর্মী-সমর্থক। এ সময় মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। সেইসঙ্গে গুলি ছোড়া হয়। এতে মোবারক, তার ছেলে ইমরানসহ তিন জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মোবারককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মোবারকের ভাই আমির হোসেন বলেন, ‘সমাবেশে যাওয়ার পথে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালান মিজানুর রহমানের লোকজন। এ সময় গুলি ছুড়লে আমার ভাই-ভাতিজা গুলিবিদ্ধ হন। পরে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।’