ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর, মেয়রের বাড়ির সামনে হাঁটুপানি

বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কিছু এলাকা। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে আরও কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বেশ কিছু এলাকার সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পানি ঢুকেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাড়িতেও। তার বাসার সামনের সড়কে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদের।

এদিকে, পানি ঢুকেছে চাকতাই-খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পণ্যের গুদামে। পাশাপাশি নগরীর বাকলিয়া মিয়াখান নগর, মাস্টারপোল, চকবাজার, ষোলশহর, হালিশহর, বহদ্দারহাট, কমার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকা, ছোট পোল, বড় পোলসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। 

পানিতে ডুবেছে রাস্তাঘাট

চট্টগ্রামে চার দিন ধরে কখনও থেমে থেমে আবার কখনও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির চতুর্থ দিনে শুক্রবার সকাল থেকে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে গেছে।

নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা আবদুল মান্নান জানান, টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বহদ্দারহাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বহদ্দারহাট এলাকায় চসিক মেয়রের বাসভবন। সেখানেও পানি ঢুকেছে। তার বাড়ির সামনের সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে। এছাড়াও বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবেছে। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বহদ্দারহাট মূল সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লাইওভারের নিচে পানি থাকায় ফ্লাইওভারগুলোতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘বৃষ্টিতে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। তবে এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।’

পানি ঢুকেছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানেও

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি নাথ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে। সকাল ৯টা ১ মিনিট থেকে জোয়ার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভাটা শুরু হবে দুপুর আড়াইটা থেকে। তখন শহরের পানি কমবে।

তিনি জানান, নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি আরও দুই-একদিন হতে পারে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।