খাতুনগঞ্জে রসুনের কেজিতে ২৫, পেঁয়াজে ৮ টাকা বেড়েছে

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে গত দুই দিনের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। এর মধ্যে পেঁয়াজের কেজিতে আট ও রসুনে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) এ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ প্রসঙ্গে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম চাকতাই-খাতুনগঞ্জে বেড়েছে। রবিবার থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি করা হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকায়। যা সোমবার বিক্রি করা হয় ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি রসুন ১৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার বিক্রি তা ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় উঠেছে।’

এ ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, ‘পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়া, সীমান্তে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাতুনগঞ্জেও দাম বেড়েছে। তবে এ দাম বৃদ্ধি বেশি দিন থাকবে না। খুব কম সময়ে তা আগের মতো হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

চাকতাই-খাতুনগঞ্জে আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে রাতারাতি দাম বাড়িয়েছে। এখানে দাম বাড়ার জন্য আমি অন্যকোনও কারণ দেখছি না। তবে বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা অনেক কম।’

জানা গেছে, খাতুনগঞ্জে বিক্রি হওয়া রসুন আমদানি করা হয় চীন থেকে। যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে তা আমদানি করা হয় ভারত থেকে।

এদিকে, নগরীর আতুরার ডিপো বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা জানানো হয়। এরপর ভারত থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ ৬ জুন থেকে খাতুনগঞ্জে আনা হয়। যা বিক্রি হয় ৭ জুন থেকে। আমদানির আগে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১০০ টাকা পর্যন্ত। আমদানির দুই দিন পর থেকে পেঁয়াজের কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকায় নেমে আসে। এখন সেই পেঁয়াজ আবারও বেড়ে ৪০ থেকে ৪২ টাকায় দাঁড়িয়েছে।