মুহুরি নদীর বাঁধে তিন স্থানে ভাঙন, ১১ গ্রাম প্লাবিত

ফেনীর মুহুরি নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নতুন করে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকা গ্রামের অংশ ভেঙেছে। এতে নোয়াপুর, পশ্চিম এলাকা ও ধনীকুন্ডা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এর আগের দিন ফুলগাজীতে দুইটি অংশ ভেঙে যায়। এতে উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর প্লাবিত হয়। এই নিয়ে দুই উপজেলার ১১ গ্রামের প্রায় ১২০ হেক্টর রোপা আমন ও ১০ হেক্টর বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে। পানিবন্দি হয়ে বন্যাদুর্গত এসব গ্রামের মানুষজন দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।

মুহুরি২

নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ফুলগাজীর প্লাবিত বিভিন্ন গ্রামের পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। এ সময় তিনি বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা এবং তিন টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মুহুরি৩

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত বাঁধের বরইয়া, দৌলতপুর ও পরশুরামে একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি কমার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফুলগাজী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে এইচ এম মনজুরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর রোপা আমন ও ১০ হেক্টর বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে পানি নেমে যাওয়ার আগে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ সম্ভব হবে।