হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে আবদুল লতিফ মিন্টুকে (৪৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আবদুল লতিফ মিন্টু হত্যার ঘটনায় স্থানীয় গ্রামপুলিশ বেলাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত তিন জনকে বেগমগঞ্জ থানার মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আসামিরা হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার মহাবুল্লাপুর গ্রামের জাফর আহম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ কালা বাবু (২৬), দেবকালা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে ফিরোজ আহম্মদ প্রকাশ রাকিব (২০) ও চাঁনকাশিমপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল প্রকাশ শিশু রাসেল (২৭)। যার মধ্যে রাকিব ও কালা বাবুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এবং শিশু রাসেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিন্টু হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের একটি দল ও বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। অভিযানকালে রাতে গোপালপুর থেকে শিশু রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপরদিকে মঙ্গলবার ভোরে গোপালপুর ইউনিয়নের পৃথক স্থান থেকে বাবু ও রাকিবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তবে এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এর আগে গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের কবির বাজার এলাকায় আবদুল লতিফ মিন্টুর গতিরোধ করে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা মিন্টুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মহাবুল্লাপুর গ্রামের সড়কের পাশে ফেলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ মিন্টুকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে মারা যান মিন্টু।

২০২২ সালের ৭ জুলাই গোপালপুর ইউনিয়নে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশারকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন মিন্টু। এছাড়া তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।