দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, একই পরিবারের ৩ জন নিহত

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনে দাউদকান্দির জিংলাতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও ৩০ বাস যাত্রী আহত হন। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই গ্রামের হাজারী বাড়ির মৃত রশিদ হাজারীর স্ত্রী রোসিয়া বেগম (৬২), তার বড় বোন বারপাড়া গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৬৫) এবং তার পুত্রবধূ সুমাইয়া আক্তার (২৫)।

জানা গেছে, ফজিলাতুন্নেছার ছেলে আব্দুল মান্নানের শ্বশুরবাড়ি ছান্দ্রা বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। সেখান থেকে ফেরার পথে জিংলাতলী এলাকায় গাড়িটি সড়কের ওপর অপেক্ষারত ছিল। এ সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত বাসযাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী কে কে ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী একটি বাস সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশা ও বাস পাশের খাদের পানিতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ফজিলাতুন্নেছা এবং রোসিয়া বেগম মারা যায়। তারা দুজন সম্পর্কে বোন। দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশার আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমাইয়া আক্তার নামের অটোরিকশার আরেক যাত্রী মারা যায়।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় বাস ধাক্কা দিলে দুইটি বাহনই খাদে পড়ে যায়। এ সময় নিহত হন তিন জন। তারা একই পরিবারের। মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।