১৩ দিন আটকে রেখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফেনীর সোনাগাজীতে তের দিন আটকে রেখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ইয়াছিন আরাফাত নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. জাহিদ হাসান বলেন, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরে তাকে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ্জহরা মুনার আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে তাকে ১৩ দিন আটকে রেখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় ইয়াছিন ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে জানায়।

এসআই আরও বলেন, এ ঘটনায় বুধবার সকালে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ইয়াছিন, তার সহযোগী সোহাগ হোসেন ও মনির হোসেনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। অভিযুক্তরা উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের শিকার ওই কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উপজেলার বিষ্ণপুর এলাকার ফয়েজ আহামদের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বাড়িতে গিয়ে ছাত্রী বিষয়টি তার মাকে জানায়। তার মা ও পরিবারের সদস্যরা প্রতিকার চেয়ে বিষয়টি বখাটের বাবা-মাকে জানান। এতে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ছাত্রীকে বাড়ি গিয়ে অপহরণের হুমকি দেয়।

পরে গত ৮ নভেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই বন্ধুর যোগসাজশে ওই ছাত্রীকে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে প্রথমে ফেনীর লালপোলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাইভেটকারযোগে চট্টগ্রামের এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায়। ইয়াছিন বন্ধুর সহায়তায় রাতে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ১৩ নভেম্বর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপর এক বন্ধুর সহায়তায় কক্সবাজার সদর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। পরে সেখানেও আটকে রেখে ধর্ষণ করে। 
বুধবার সকালে আবারও ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি গাড়িতে কক্সবাজার থেকে ফেনীতে আসে। ইয়াছিন গাড়ি থেকে নেমে ছাত্রীকে নিয়ে পাঁচগাছিয়া হয়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রী চিৎকার দিলে স্থানীয়রা দুই জনকে আটক করেন। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।