অবন্তিকার লাশের গাড়ি দেখে জ্ঞান হারালেন মা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার লাশের গাড়ি দেখে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে গেছেন তার মা তাহমিনা শবনম। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে তার মৃত্যুর পর শনিবার বেলা ১টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তার লাশ আনা হয় নিজ বাড়িতে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস এলাকাজুড়ে কান্নার রোল ওঠে। লাশের গাড়ি দেখেই এগিয়ে আসেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগমকে বলতে শোনা যায়, স্রষ্টা সবাইকে নিয়ে যায়। আমাকে কেন নেয় না। মারতে মারতে আল্লাহ আমার স্বামীও নিলো মেয়েও নিলো। এই আমি কার লাশ দেখছি? এটাতো আমার তিল তিল করে গড়ে ওঠা স্বপ্নের লাশ দেখছি বলে হুঁশ হারিয়ে মাটিতে লুড়িয়ে পড়েন। এ সময় আত্মীয়রা তাকে ধরে সড়ক থেকে ওঠায়।

অবন্তিকার মামা লুৎফুর আনোয়ার ভূঁইয়া জানান, শনিবার (১৬ মার্চ) জোহরের পর তার জানাজার নামাজ হবে। কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার পাশেই দাফন করা হবে তাকে। 

অবন্তিকার লাশবাহী গাড়ি

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা।

ফেসবুকে ওই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল করিম খন্দকার। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।