ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা

১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ঋণের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সাত কোটি আট লাখ ৫০০ টাকা আত্মসাতের দায়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে ৩৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকালে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোরশেদ খান। দণ্ডপ্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ বাশার লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরজগবন্ধু গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে। তিনি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এসবিআইএস সুপারভাইজার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নূর মোহাম্মদ বাশার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখায় এসবিআইএস সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ঋণের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ব্যাংকে জমা দেন। পরে গ্রাহকদের নামে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দেখিয়ে ব্যাংকের সাত কোটি আট লাখ ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রায়পুর থানায় একটি মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ। মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মো. মশিউর রহমান। তিনি আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন বিচারক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন ধারায় তাকে ৩৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর আদালতের নির্দেশে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’