একটি ভোটের যে কত গুরুত্ব তা প্রমাণ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের ফারুক-রত্না দম্পতি। সকালে নবজাতক সন্তানকে নিয়ে ভোট দিতে আসেন পরিবারের পাঁচ সদস্য। এ সময় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার, পুলিশ সদস্যরাও তাকে সহজে ভোট প্রদানে সহযোগিতা করেন। ভোটকেন্দ্রে ভিন্ন আবেশের সৃষ্টি হয়।
ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের শালুকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এক মাস বয়সী নবজাতক ফাহাদকে নিয়ে ভোট দিতে আসেন রত্না বেগম নামে এক মা। এ সময় তার সঙ্গে ৫ বছর বয়সী প্রথম সন্তান ফাহিমও ছিল। নবজাতক সন্তানকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে অনেকটাই স্বস্তি প্রকাশ করেন রত্না।
রত্না জানান, ভোটের গুরুত্ব ও দায়িত্বকে বিবেচনা করেই তিনি ভোট দিতে এসেছেন। পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হলে বেশি খুশি হবেন তিনি।
ভোটকেন্দ্রে রত্নার সঙ্গে থাকা তার শাশুড়ি রেহেনা বেগম বেগম জানান, নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে পেরে অনেকটাই খুশি। এ সময় তার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ছিল। তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে নবজাতক নাতিকে নিয়ে এসেছি। কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে আমার নাতি। কেন্দ্রে সুন্দর পরিবেশ থাকায় বেশ ভালোভাবেই ভোট দিতে পেরেছি।’
রত্নার স্বামী ফারুক মিয়া বলেন, ‘একটি ভোটের অনেক গুরুত্ব আছে। কেন্দ্রের পরিবেশ ভালো। সেজন্যই নবজাতক সন্তানকে নিয়ে সপরিবারে ভোটকেন্দ্রে আসি। দায়িত্ব ও সচেতনতা থেকেই পরিবারকে নিয়ে এমনটা করেছি। কারণ, একটি ভোটেও জয়-পরাজয় হয়।’ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে তিনি বেশ খুশি বলেও জানান।
ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘একটি ভোটের যে গুরুত্ব, তা ওই মা তার নবজাতক সন্তানকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে প্রমাণ করলেন। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সুষ্ঠুভাবে যেন ভোট দিতে পারে সে সহযোগিতা করেছি। শালুকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৮৭ জন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ১৫০টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কোনও ধরনের বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে এই ভোটগ্রহণ চলবে। কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আনসার, পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে।