সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবলীগ নেতা মারা গেছেন

কুমিল্লায় হামলার সাত দিন পর আহত যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান (৫০) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মিজানুর রহমান ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের মনোহরপুর ভূঁইয়া বাড়ির মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান একজন ঠিকাদার। তিনি খোরশেদ কনস্ট্রাকশনের দোকান থেকে ঠিকাদারি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মালামাল আনতেন। বকেয়া টাকা নিয়ে খোরশেদ আলমের ছেলেদের সঙ্গে কয়েকবার বাগবিতণ্ডা হয়। এ বিরোধের জেরে গত ১৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১০টার দিকে কুমিল্লা দৌলতপুর এলাকায় ইট ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা।

স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহত যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে হামলার ঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন- কুমিল্লা দৌলতপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩০), রায়হান (২৮), আক্কাস (৪৬), জিলানী (৩২) ও কুমিল্লার কালিরবাজার হাতিগাড়া এলাকার বিল্লাল (২৭)।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ মে রাতে মিজানুর রহমান হামলায় আহত হন। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন শুনেছি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা মূল আসামি রাশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।