প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রায় ৩০০ নৌকা নিয়ে প্রস্তুত ৭০০ ডিম সংগ্রহকারী। বুধবার থেকে ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকাল থেকে স্বল্প পরিমাণে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। তবে একে নমুনা ডিম বলছে সংগ্রহকারীরা। যেকোনও সময় ডিম ছাড়বে মা মাছ।
রাউজান উপজেলার প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, ‘হাটহাজারী উপজেলার গড়দোয়ারা ইউনিয়ন নয়াহাট এলাকায় হালদা নদীতে সামান্য কিছু ডিম ছাড়ে মা মাছ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাতে ব্যাপক আকারে ডিম ছাড়তে পারে এমন আশায় আমরা নৌকা নিয়ে নদীতে ডিম সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। মৌসুমের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে নদীতে পানি বাড়ে। আর এতে মা মাছ ডিম ছাড়ে।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট হালদা নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন মা মাছ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। বৃষ্টি থাকলে আজ বা কাল হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। তবে গতকাল বুধবার এবং আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বল্প পরিমাণে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। রাতে ব্যাপকভাবে ডিম ছাড়তে পারে মা মাছ। ডিম সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছে হালদা নদীতে প্রায় ৩০০ নৌকা। এসব নৌকায় রয়েছে অন্তত ৭০০ ডিম সংগ্রহকারী।’
রুই জাতীয় মাছের মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে গেলো আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।