ঈদুল আজহার ছুটিতে রাঙামাটির পাহাড়-হ্রদঘেরা প্রকৃতি উপভোগে ছুটে আসছেন দেশি পর্যটকরা। ঈদের দ্বিতীয় দিনেই (৮ জুন, রবিবার) জেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে শুরু হয়েছে পর্যটকের ভিড়। বিশেষ করে শহরের ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক ও আশপাশের এলাকা এখন মুখর হয়ে উঠেছে।
সকাল থেকেই ঝুলন্ত সেতু এলাকায় পর্যটকদের দেখা যায় দলবেঁধে ঘুরে বেড়াতে। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, কেউ দম্পতি হিসেবে, আবার কেউ বন্ধুবান্ধব মিলে আনন্দ উপভোগ করছেন। কেউ কেউ সেলফিতে স্মৃতি ধরে রাখছেন। এখান থেকে পর্যটন নৌঘাট হয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহারে মেতে উঠছেন পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মৌটুসী আক্তার বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ঘরের মধ্যে না থেকে প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটাতে এসেছি। আমি প্রতিবছর একবার হলেও রাঙামাটিতে আসার চেষ্টা করি, কারণ এখানে পাহাড় আর হ্রদের অপূর্ব সংমিশ্রণ রয়েছে।’
চট্টগ্রাম থেকে আগত নবদম্পতি রায়হান উদ্দিন ও নাজমা আক্তার বলেন, ‘বিয়ের পর ঈদের ছুটিতে আমরা রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। এখানকার শান্ত পরিবেশ খুব ভালো লাগছে।’
নৌঘাট টোল আদায়কারী ফখরুল আলম জানান, দ্বিতীয় দিন থেকেই পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে। তারা নৌকায় চড়ে সুবলং ঝরনা, পাহাড়ি গ্রাম ও আশপাশের দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখছেন।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। ঝুলন্ত সেতু ও কাপ্তাই হ্রদের পাশাপাশি শহরের পলওয়েল পার্কেও পর্যটকদের দেখা মিলছে। আমরা আশা করছি, সামনে আরও বেশি পর্যটক আসবেন।’
সাজেক ভ্যালি, কাপ্তাই, ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা—এসব স্থানে পর্যটকদের উপস্থিতিতে পাহাড়ি শহর রাঙামাটি যেন পরিণত হয়েছে উৎসবমুখর এক পর্যটন নগরীতে। ঈদের ছুটি শেষে আসা পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই প্রত্যাশা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।