ইসলামী আন্দোলনের এক নেতাকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার, বাদী চেনেন না আসামিকে

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলায় হাবিবুর রহমান নামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার (২০ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রামে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে চান্দগাঁও থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে তারা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। চাপের মুখে পুলিশ মামলার বাদীকে থানায় ডেকে আনেন। বাদীর আপত্তি না থাকায় গ্রেফতার হাবিবুর রহমানকে শুক্রবার দুপুরের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চান্দগাঁও থানার সেক্রেটারি। থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নেওয়ার কারণে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়েছে বলেও দলটির নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মনিরুল করিম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে থানায় এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে চাঁদাবাজির একটি মামলার ছিল। মো. শিপন নামে এক ব্যক্তি চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গত ১৮ জুন ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে হাবিবুর রহমানের নাম ছিল ৫ নম্বরে। তবে বাদী থানায় এসে জানিয়েছেন, তিনি তাকে চেনেন না। তাই বাদীর জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা থানায় জড়ো হন। শুক্রবার সকাল থেকে সংগঠনের সহযোগী সংগঠন যুব-আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও থানার সামনে অবস্থান নেন। তার মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেওয়া হয়। একপর্যায়ে মামলার বাদী মো. শিপন থানায় এসে বলেন, তিনি হাবিবুর রহমানকে চেনেন না। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে হাবিবুরকে তার জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘হাবিবুর রহমানকে বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে, সেখানে হাবিবুর রহমানের চেহারা দেখা যায়নি। বাদীও থানায় এসে বলেছেন, তিনি হাবিবকে চেনেন না।’

ইসলামী যুব-আন্দোলন চট্টগ্রাম নগরের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান জানান, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় বন্ধে গঠিত একটি কমিটিতে হাবিবুর রহমান যুক্ত ছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পরে বাদী এসে বলেছেন হাবিবুর রহমানকে তিনি চেনেন না। এরপর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।