চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ৩৫ মামলার আসামি মো. সবুজ ওরফে বার্মা সবুজকে (৩৬) তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হিলভিউ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সবুজ ওরফে বার্মা সবুজকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় তার দুই সহযোগী সুমন খান (৩৮) ও মো. জনিকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বার্মা সবুজ বায়েজিদ বোস্তামী থানার বার্মা কলোনির নুরুল আমিনের ছেলে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বার্মা সবুজের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন সহযোগী গত ২৭ জুন রাতে বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফের বাসায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির পাশাপাশি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় ২৮ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে বার্মা সবুজকে গ্রেফতার করে।
ওসি জানান, বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকাসহ পাঁচলাইশ, খুলশী থানা এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি ও জায়গা দখলসহ আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল বার্মা সবুজ।
এর আগে, গত বছরের ২৫ নভেম্বর জেলার হাটহাজারী থানাধীন কুয়াইশ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বার্মা সবুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুদিন কারাভোগ শেষে পুনরায় জামিনে এসে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বার্মা সবুজরা পাঁচ ভাই। সামশু ওরফে বার্মা সামশু, সবুজ ওরফে বার্মা সবুজ, সাইফুল ওরফে বার্মা সাইফুল, ফাহিম ওরফে বার্মা ফাহিম ও শাহিন ওরফে বার্মা শাহিন। পিতা নুরুল আলম কসাই। একসময় মাংস বিক্রি করলেও এখন ছেলেদের কল্যাণে বেশ অর্থ-বিত্তের মালিক। ছোট ছেলের বিরুদ্ধে এখনও কোনও মামলা না থাকলেও বাকি চার ছেলের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা একাধিক। এর মধ্যে বড় ভাই সামশুর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ১২টি। সবুজের বিরুদ্ধে ৩৫টি, সাইফুলের বিরুদ্ধে ২০টি এবং ফাহিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
বায়েজিদ থানাধীন বার্মা কলোনি, আলী নগর, ফরেস্ট গেট এবং রংপুর কলোনির অলিখিত নিয়ন্ত্রক তারাই।