‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অচল চট্টগ্রাম বন্দর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ রবিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচির কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। এতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে কনটেইনার জট।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর বন্দর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। আমদানি-রফতানি পণ্যের শুল্কায়নও রয়েছে পুরোপুরি বন্ধ। এমনকি পূর্বে শুল্কায়ন করা চালানগুলোর খালাসেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। বন্দরের গেটে অবস্থানরত কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্য স্ক্যানিং ও পরীক্ষণ না করায় বন্দর কর্তৃপক্ষও পণ্য ছাড় দিচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ও মুখপাত্র সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মসূচিতে সমর্থন রয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের। এ কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমসে কোনও ধরনের কাজ হচ্ছে না।’

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রফতানি কনটেইনার পরিবহনও সম্পূর্ণ বন্ধ। চট্টগ্রামের ১৯টি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) থেকে বন্দরে যাচ্ছে না কোনো রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, শনিবার থেকে সারা দেশে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে কমপ্লিট শাটডাউন কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে। পাশাপাশি, সারা দেশের রাজস্ব দফতর থেকে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিও পালিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, কর্মসূচির কারণে কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ না করায় আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি দেওয়া যাচ্ছে না। বন্দরে আসছে না রফতানি কনটেইনারও।

বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি বন্ধ রয়েছে। এ কারনে বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানে না এলে আরও ভয়াবহ হবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।