দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত টাঙ্গাইলের বিনোদন কেন্দ্রগুলো

Soul Park-07ঈদে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে টাঙ্গাইলের শহরতলীতে অবস্থিত বিনোদন কেন্দ্র সোল পার্ক। ইতিমধ্যে পার্কটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আলোকসজ্জা করে সাজানো হয়েছে।

পার্কের ভেতরে এ প্রতিবেদকের কথা হয় সাহাদত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যে সব জায়গায় রং উঠে গেছে এবং রং পুরোনো হয়ে গেছে সেগুলিতে নতুন করে রং করে দর্শনার্থীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে তোলা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অনেক নতুন নতুন দর্শনার্থী আসে এখানে। একবার কেউ এলে তারা যেন ভবিষ্যতে আবারো ঘুরতে আসে তাই পার্কটিকে সবসময়ই পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।’

Soul Park-01টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা এলাকায় রেল স্টেশনের সঙ্গে ৯ একর জায়গার ওপর ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সোল পার্ক। এখানে নাগরদোলা, জিকজ্যাক ট্রেনসহ মোট ৭টি রাইড রয়েছে। প্যাডেল বোটিং এর জন্য রয়েছে প্রায় ৫ একর জায়গা নিয়ে সুবিশাল একটি লেক।

পার্কের ম্যানেজার আবু সাঈদ বলেন, ‘স্বাভাবিক দিনে দর্শনার্থী বেশি না হলেও বন্ধের দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের সমাগম বেশি ঘটে। কিন্তু ঈদের মধ্যে এখানে উপচে পড়া ভিড় থাকে।’

তিনি জানান, মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকার মধ্যে যে কেউ এই রাইডসগুলোতে উঠতে পারবে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিশুসহ যেকোনও বয়সের নারী-পুরুষ এ বিনোদন কেন্দ্রে এসে তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন বলেও জানান আবু সাঈদ।

Soul Park-02সোল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ আহমেদ লিটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অত্যন্ত নিরাপত্তা বেস্টিত আমাদের এই বিনোদন কেন্দ্রে আতিথেয়তার কোনও কমতি নেই। ঈদ এবং পহেলা বৈশাখে এখানে দর্শনার্থী বেশি হয়। তাছাড়া সারা বছর জুড়েই আমাদের লোকসান গুনতে হয়। বিশেষ কোনও দিনে এখানে কনসার্টের আয়োজন করতে পারলে দর্শনার্থীর পরিমাণ বেশি হতো, ব্যবসাটাও টিকিয়ে রাখতে পারতাম।’

এক্ষেত্রে প্রসাশনের আন্তরিকতা ও পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করেন রিয়াজ আহমেদ লিটন।

Chapra Beel-01এছাড়াও টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে বাসাইল উপজেলার হামদুলি গ্রামে চাপাড়া বিল বর্ষার মৌসুমে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে ওঠে। টাঙ্গাইল শহর থেকে এবং এই এলাকার আশপাশের দর্শনার্থীরা বাসাইল-নলুয়া সড়কের চাপড়া বিলের বিশাল জলরাশিতে নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য চলে আসে। এই বিলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইঞ্জিন চালিত নৌকা এবং কোশা নৌকা খুবই জনপ্রিয়।

কুমারজানি গ্রামের ফনিন্দ্র এবং বীরবল রাজবংশীসহ অনেক নৌকার মাঝিই বলেন, বর্ষার মৌসুমে সরকারি ছুটির দিনগুলিতে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানে লোক সমাগম বেশি হয়। ঈদের সময় ঈদের দিন থেকে পরবর্তী ৮/১০ দিন লোকজনের এতোই ভিড় থাকে যে এই বিলের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া বাসাইল-নলুয়া সড়কে গাড়ি চলাচল করাই কষ্টকর হয়ে পড়ে বলেও জানান তারা।

Chapra Beel-02এ এলাকার জনগণ এবং সব নৌকার মাঝিদের মধ্যে একতা থাকায় এখানে ছিনতাই বা অপরাধমূলক কোনও কাজ হয় না। তাই যে কেউ নিরাপদে এই এলাকায় ঘুরতে আসতে পারে বলেও জানান মাঝিরা।

আরও পড়ুন: 

গুলশানে নিহত ও আহত পুলিশ সদস্যদের ‘ঈদ উপহার’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

/বিটি/