সোমবার সকাল সোয়া ১০টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ওই শুনানি হয়। এদিন প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত তিনজন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, এম এম রানা ও আরিফ হোসেনকে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন।
আরিফ হোসেনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, তাকে ১৮ দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোর করে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রানার লিখিত আবেদন তাঁর আইনজীবীরা সরবরাহ করেন নি।
পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন সাংবাদিকদের জানান, ‘আদালতে আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। সেদিন অন্য আসামিদের একইভাবে অভিযোগ পড়ে শোনানো হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘সাত খুন মামলায় আদালতে ১০৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেওয়া শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৩৫ আসামীর পক্ষে সাক্ষ্য জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবারের বিষয়টি অনেকটা পরীক্ষার মত ছিল। ৩৪২ ধারায় এ পরীক্ষা দেন আসামীরা।
জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭জন করে।
/এইচকে/