নিহত মিতু ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
নিহতের বাবা আলতাফ আলী জানান, তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এরই সুবাধে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী মুরাদের সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে গত এক বছর আগে চাঁদপুর এলাকার মুরাদ মিয়া তার মেয়ে মিতুকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তারা ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতো।গত এক সপ্তাহ আগে তারা দুজনই তাদের বাড়ি আনন্দপুর এলাকায় বেড়াতে আসেন। পরে সোমবার রাতে মুরাদ তার মেয়কে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি সন্দেহ হলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে। এ সময় স্থানীয়রা রুমের ভেতরে মিতুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুরাদকে আটক করে ও নিহতের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
/এআর/