মর্জিনা আক্তার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার পানখাউয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই জেলার চৌহালী থানার কুড়কি গ্রামের মোকাদ্দেস মোল্লার মেয়ে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব জানান, প্রায় দেড় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন সাইফুল ইসলাম ও মর্জিনা আক্তার। বিয়ের পর এ নবদম্পতি কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা ছাপড়া মসজিদ এলাকায় ইব্রাহিম মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই তাদের সংসারে সায়মার জন্ম হয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সন্তান জন্ম হওয়ার ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা মর্জিনাকে সন্দেহ করে এবং তাকে নিয়ে নানা মন্তব্য করতে থাকে। বিষয়টি তার স্বামী সাইফুল ইসলামকে জানালে সেও একই ধরনের মন্তব্য করে। একপর্যায়ে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মর্জিনা সোমবার গভীর রাতে চার মাসের শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দিয়ে সায়মা নিখোঁজ হয়েছে বলে প্রচার করেন। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজির পর এলাকাবাসী ডোবায় সায়মার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রথমে নিহতের মা, বাবা ও দাদিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সায়মাকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে শিশুটির মা মর্জিনা আক্তার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:
৭ খুন মামলায় কামব্যাক সাখাওয়াতের
/বিটি/