সোমবার নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সকাল সোয়া ১১টার দিকে সেলিনা হায়াৎ আইভী ও পৌনে ১২টার দিকে আসেন সাখাওয়াত হোসেন খান। এর আগে ও পরে আসেন অপর প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নৌকা, বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ধানের শীষ, ইসলামী ঐক্যজোটের এজহারুল ইসলামকে মিনার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইলকে কোদাল, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মাসুম বিল্লাহকে হাতপাখা, এলডিপির কামাল প্রধানকে ছাতা, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌসকে হাতঘড়ি প্রতীক দেওয়া হয়। এর আগে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও সুলতান আহমেদ নামে একজন বিএনপি কর্মীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। তাছাড়া রবিবার জাসদের মোসলেমউদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
পরে বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী খোকন সাহাসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় বক্তব্য রাখেন আইভী। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও পদ-পদবী চাই নাই। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবেই থাকতে চাই। এখন সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আসুন সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করি।’
পরে আইভী সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডে যান। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন তিনি।
এ সময় সাখাওয়াতের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নির্বাচনে সমন্বয়কারী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী মনিরুজ্জামান, সাবেক দুই এমপি আবুল কালাম ও গিয়াসউদ্দিন, নগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল।
এছাড়াও প্রতীক পাওয়ার পর বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইলকে কোদাল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। বাকি প্রার্থীরা সোমবার তাদের কর্মপন্থা নির্ধারণেই ব্যস্ত ছিলেন। মঙ্গলবার থেকে তারা প্রচারণায় নামবেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা দুপুরে প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই শুরু করেছেন প্রচারণা।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটির ২৭ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন। এর আগে ২০১১ সালের নির্বাচন ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৪ হাজার ১৮৯ জন।
আরও পড়ুন:
আমি সরকার ও ইসির প্রতি আস্থা রাখতে চাই: সাখাওয়াত
/বিটি/