গাজীপুরের সাবেক মেয়র এম এ মান্নান জামিনে মুক্ত

এম এ মান্নানগাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র এমএ মান্নান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তিনি মুক্তি পেয়ে বের হয়ে আসেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, উচ্চ আদালত থেকে অধ্যাপক এমএ মান্নানের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তা যাচাই-বাচাই করা হয়। পরে শুক্রবার দুপুরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি গত বছর ১৬ এপ্রিল থেকে এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

মেয়র মান্নানের মুক্তির খবরে শুক্রবার সকাল থেকেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কারা ফটকে উপস্থিত হন। কারা ফটক থেকে তিনি বের হয়ে এলে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় কারা ফটকে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. শহীদুজ্জামান, বিএনপি নেতা বশির আহমেদ বাচ্চু, ইদ্রিস আলী, আব্দুল খালেক ডিলার আকন্দ, কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ, যুবদল নেতা আরিফ হাওলাদার, জসিম ভাট, ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দিন নাসির, আমিনুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

গাজীপুর বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. শহীদুজ্জামান জানান, নানা রোগে আক্রান্ত অসুস্থ মেয়র এমএ মান্নানকে এখন ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।

তিনি জানান, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়র এমএ মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ মামলায় জামিনের পর হাইকোর্ট থেকে সর্বশেষ জামিন লাভ করে গত বছরের ২ মার্চ তিনি কারামুক্ত হন। এপ্রিল মাসে তিনি মেয়র পদ ফিরে পান।

এ অবস্থায় গত বছর ১৫ এপ্রিল এমএ মান্নানকে ফের নাশকতার তিনটি মামলায় গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই মাসে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ২৯টি মামলা দায়ের করা হলেও সব কটি মামলায় তিনি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন।

মান্নানের অবর্তমানে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন- 


সুন্দরগঞ্জের সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডেই জামায়াত জড়িত!

/এফএস/