ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজ, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার প্রমুখ।
রবীন্দ্র গোপ জানান, মেলায় কর্মরত কারুশিল্পীর কারুপণ্য উৎপাদন প্রদর্শনীর ২৭স্টলসহ মোট ১৯৩টি স্টল থাকবে। বাংলাদেশের পল্লি অঞ্চল থেকে ৫৪ জন কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছেন। নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মুখোশ, চট্টগ্রামের তালপাতার পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতিঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, বেতের কারুশিল্প, মুন্সীগঞ্জের শীতল পাটি, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও সিলেটের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা শিল্পসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মৃৎশিল্প বিভাগের মাটির কারুশিল্প এ মেলায় স্থান পাচ্ছে।
মেলায় গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির ‘মৃৎশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন’ শিরোনামে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নিচ্ছেন ঢাকা ও রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জন শিল্পী।
উৎসবে আরও থাকছে লোকজ নাটক, যাত্রাপালা, বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারি গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তি-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি।
/এমএনএইচ/