আটক নাছির উদ্দিন এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইলেট্রিক মিস্ত্রী বাহার উদ্দিনের বড় ভাই।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সুজ্ঞান চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঘটনার পর থেকে বাহার উদ্দিন পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করার জন্য পুলিশ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি।
আহত সুমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজার থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা জকিগঞ্জ উপজেলার ৯নম্বর মানিকপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দল কাদির জানান, চিকিৎসাধীন কলেজ ছাত্রী সুমার অবস্থা কিছুটা ভালো। তার বাম হাতে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তার হাতে ১৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঝুমাকে নিয়ে হাসপাতালে তার মা-বাবা থাকায় কেউ মামলা করতে এখনও আসেননি। পুলিশ থানা থেকে মামলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কলেজ ছাত্রী সুমার মা’র সাক্ষর আনতে যাচ্ছে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে। মামলার বাদী হবেন ঝুমার মা করিমা বেগম।
মামলায় কাদের নাম উল্লেখ আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। তবে তদন্তে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এটা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেটের জকিগঞ্জে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কালীগঞ্জ বাজারে ঝুমাকে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাহার উদ্দিন কুপিয়ে আহত করে। আহত ঝুমাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
/এমডিপি/